চারুকলা পর্ষদের প্রতি বছরের চারুকলা মেলায় ছবির, ছবি-আঁকিয়েদের স্টল থাকে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেলায় কার্টুনের স্টল চেয়ে দরখাস্ত দেওয়া হল। দরখাস্ত মঞ্জুর। যারা দরখাস্ত জমা দিলেন তাঁরা দলের নাম দিলেন ‘কার্টুন দল’। এমনি ভাবেই জন্ম কার্টুন দল-এর। প্রথম দিককার সদস্য অনুপ রায়, দেবাশীষ দেব, উপল সেনগুপ্ত, ঋতুপর্ণ বসু আর উদয় দেব। আর আমন্ত্রিত হয়ে এলেন চণ্ডী লাহিড়ী ও অমল চক্রবর্তী। স্টলে এঁদের কার্টুন টাঙানো হল। এঁদের কার্টুন নিয়ে ফোল্ডার বানানো হল। পোস্টার আর কার্ড ছাপা হল কার্টুন এঁকে। হৈ-চৈ পড়ে গেল। স্টলে ভিড়, লোকজনের জানতে চাওয়া, দলের সদস্য হওয়ার ইচ্ছে, কাগজে-কাগজে খবর। কার্টুন নিয়ে, কার্টুন দল নিয়ে, কার্টুন দলের স্টল নিয়ে সাড়া পড়ে গেল।
মেলা শেষে দলের সদস্য বাড়ল। নতুন সদস্য এলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, স্বপন দেবনাথ, তাপস মন্ডল, অনির্বাণ পাল, চিরঞ্জিত সামন্ত, রৌদ্র মিত্র।
কার্টুন দলের মিটিং বসে মাসে এক বার। কার্টুন নিয়ে আলোচনা চলে।
কার্টুন দল ঠিক করল গ্যালারিতে কার্টুন টাঙাবে। জায়গা পাওয়া গেল মায়া আর্ট স্পেসে। এগজিবিশন চলল ৮ থেকে ১৬ অগাস্ট।
১০ অগাস্ট দেখানো হল তথ্যচিত্র। রেবতীভূষণ, চণ্ডী লাহিড়ী আর অমল চক্রবর্তীকে নিয়ে দেবাশীষ দেবের বানানো তথ্যচিত্র। ১৫ অগাস্ট বসল আলোচনা সভা ‘কার্টুন এখন’। কথা বললেন কার্টুন দলের সদস্যরা, দুই কার্টুন- ইতিহাসবিদ বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় আর চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। শ্রোতারাও কথা বললেন। খুব জমে গিয়েছিল কার্টুন নিয়ে আলোচনা।
প্রদর্শনীটাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথম ভাগে পুরনো দিনের বিখ্যাত কার্টুনচিত্রীদের কার্টুনের প্রতিলিপি। দ্বিতীয় ভাগে কার্টুন দলের সদস্যদের কার্টুন। সঙ্গে আমন্ত্রিত শিল্পী সেন্টুর আঁকা কার্টুন। প্রতিদিন খুব ভিড় হয়েছে গ্যালারিতে। প্রদর্শনীর জন্য বানানো পোস্টার আর ক্যাটালগ কিনে নিয়ে গেছেন অনেকে। প্রদর্শনীটি নিয়ে কাগজে-কাগজে লেখালেখি হয়েছে, প্রশংসা পেয়েছে।
প্রদর্শনীতে টাঙানো নিচের দুটি ছবি-র প্রথমটি উদয় দেব-এর আঁকা, দ্বিতীয়টি অমিতাভ চক্রবর্তী-র।
প্রদর্শনী দেখে বিখ্যাত চিত্রী, ‘টোকাই’ চরিত্রের স্রষ্টা রফিকুন নবী-র প্রতিক্রিয়া