কাস্তেলাও। জন্ম সমুদ্রতীর রিয়ানষোয়। ৩০ জানুয়ারি ১৮৮৬। মৃত্যু নির্বাসনে আর্জেন্তিনায়, ৭ জানুয়ারি, ১৯৫০। কাস্তেলাওর প্রিয়ভূমি গালিজা। পর্তুগালের উত্তরে স্পেনের একটি স্বয়ংশাসিত অঞ্চল। দু-দিক ঘিরে অতলান্তিক মহাসাগর। ভাষা গালিসিও পর্তুগিজ (গালিজার পর্তুগিজ) এবং কাস্তিলিও (স্প্যানিশ)।
গালিসিওদের প্রিয় মানুষ কাস্তেলাও।
কাস্তেলাও লেখক। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা। কাস্তেলাও শিল্পী, রেখাচিত্রী।
কাস্তেলাও রাজনীতিক, ‘পার্তি দু গালেগিস্তা’ দলের প্রতিষ্ঠাতা। একসময়ে মাদ্রিদ পার্লামেন্টের সদস্য। স্পেনে ফ্যাসিস্ত শাসনে আর্জেন্তিনায় চলে যাওয়া। সেখানে গালিজার নির্বাসিত সরকারের সভাপতি।
গালিজায় গণতন্ত্র ফিরে এলে কাস্তেলাওয়ের দেহাবশেষ আর্জেন্তিনা থেকে গালিজায় নিয়ে এসে সমাহিত করা হয়।
কাস্তেলাও চিত্রকর, কার্টুনচিত্রী।
বাংলা অনুবাদে তাঁর চিত্র-সংকলন ‘জীবনের সাতসতেরো : নির্বাচিত প্রসঙ্গ’। ভূমিকায় জুজে পাস লিখেছেন, ‘সেই সব ছবিই নির্বাচন করা হয়েছে বাঙালিদের পক্ষে যা বোঝা সহজ হবে।’
বইটির প্রকাশক মনফকিরা, ২০১২।
কার্টুনপত্তর-এ কাস্তেলাও-এর কয়েকটি কার্টুন রাখা।
ছবি ১
— এমএলএ-রা যে কীসের জন্য আছে?
— আমি জানি না বাবা।
ছবি ২
— আমরা ভোট-ভোট খেলব। তোরা হবি পুলিশ, আর আমি প্রেসিডেন্ট, তোদের অর্ডার করব যেন কাউকে ভোট দিতে না দিস।
ছবি ৩
— ওরা আবার ট্যাক্স বাড়িয়েছে।
— ভালো তো, ওরা খালি চেয়ে যাবে আর আমরা দিয়ে যাব। এ কখনও শেষ হবার নয়।
ছবি ৪
— আমরা বুড়ো, অন্ধ, ভিক্ষে করে খাই; কিন্তু নেতাদের হাত থেকে আমরা বেঁচে গেছি।
ছবি ৫
— রেলের কোন কাজ করার জন্য নাকি টাকা নেই।
— আমাদেরও তাহলে ট্যাক্স দেবার টাকা নেই।
ছবি ৬
— শহরে ওরা গরিবদের থাকা নিষিদ্ধ করেছে।
— তার চেয়ে দারিদ্র্যকে নিষিদ্ধ করলেই ভালো হত।
ছবি ৭
— মাছ সব শেষ হয়ে যাবে।
— কিন্তু যদ্দিন আছে, তাতেই ঢের বড়লোক তৈরি হবে।
ছবি ৮
এক ধনী দেশে।
ছবি ৯
— সংখ্যা কখনও মিথ্যে বলে না।
— কিন্তু যারা তা বানায়, তারা তো বলে।
ছবি ১০
— আমি এই অবিচারের প্রতিবাদ করি।
— ভেবো না, খুব শিগগিরি তোমায় প্রতিক্রিয়াশীল বলা হবে।
ছবি ১১
— ওরা বলছে ‘গ্রামের লোকেরা’ নাকি ‘নাগরিক’ নয়।
— কিন্তু ‘নাগরিকরা’ ‘গ্রামের লোকেদের’ চেয়ে ট্যাক্স দেয় কম।
ছবি ১২
আমি জাতীয় ইচ্ছার প্রতিনিধি।
ছবি ১৩
— আমি বলছি নেতারা সরকারের প্রতিনিধি নয়, সরকারই নেতাদের প্রতিনিধি।
ছবি ১৪
নেতা : যখন এই সিন্দুকটা ভর্তি হয়ে উঠবে, তখন আমরা ধনী হয়ে যাব।
শ্রমিক : কিন্তু চাবিটা থাকবে কার কাছে।
ছবি ১৫
— যদি মাছেরা না ফিরে আসে, তবে নেতারা ফিরে এল কি এল না, তাতে আমার কী যায় আসে?