জন্ম ১৪ অগাস্ট, ১৮৯৪।
আর্ট স্কুলে সতীশচন্দ্রের শিক্ষক যামিনীপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়। ছাত্র-জীবনের বন্ধু যামিনী রায় ও অতুল বসু। এঁরা যা আঁকতেন পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে। পরবর্তী কালে তিন জনে তিনটি পৃথক শিল্পধারা অবলম্বন করেন।
১৯২১ সালে আর্ট স্কুলের পাঠ সমাপ্ত হয়। এই সময়ে পিতৃবিয়োগের কারণে জীবিকার প্রয়োজনে সতীশচন্দ্র বীমা ও শেয়ারের দালালি করেন। অল্পকাল পরে শিল্পজগতে ফিরে আসেন। প্রথম কীর্তি দীনেশচন্দ্র সেনের ‘সাঁঝের ভোগ’ বইয়ের জন্য প্রায় দুশো ছবি আঁকা।
আর্ট স্কুলের অধ্যক্ষ মুকুল দে সতীশচন্দ্রকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন। ১৯৪৮ সালে অধ্যক্ষ অতুল বসু অবসর নিলে সতীশচন্দ্র অধ্যক্ষ হন। ১৯৪৯ সালে তিনি অবসর নেন।
সতীশচন্দ্র সারা জীবন শিল্প-সম্পর্কিত বই কিনেছেন, দেশের নানা শিল্প-সংগ্রহশালা দেখেছেন।
‘বসুমতী’ পত্রিকার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বহুদিনের। এই পত্রিকার জন্য তিনি অনেক ছবি এঁকেছেন।
সতীশচন্দ্রের মতে, সমাজে শিল্পীর স্থান চিরকালই অত্যন্ত খারাপ। কেবল মুঘল যুগে জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের সময়ে শিল্পীরা সম্মানের অধিকারী ছিলেন। আজকের দিনে পারিপার্শ্বিক অবস্থা শিল্পীর উন্নতির পক্ষে সম্পূর্ণ প্রতিকূল।
সতীশচন্দ্রের মতে, পরিপূর্ণ শিল্পী হতে গেলে সবচেয়ে বেশি আবশ্যক পরিপূর্ণ মানবতা। সবার আগে হতে হবে পরিপূর্ণ মানুষ।
(‘মাসিক বসুমতী’ পত্রিকার আশ্বিন ১৩৬২ সংখ্যায় প্রকাশিত লেখার সংক্ষিপ্তসার)