‘যষ্টি-মধু’র মলাটে বাঁদিকে এক সার লাঠি, ডানদিকের নিচে এক সার তরল বিন্দু— যার নামে ‘যষ্টি’ এবং ‘মধু’। ‘যষ্টি-মধু’ শিরোনাম ডানদিকের মাথায়। মলাট করেছিলেন রঘুনাথ গোস্বামী। তিনি কার্টুন আঁকতেন। শুরু এপ্রিল ১৯৫১। সম্পাদক কুমারেশ ঘোষ। প্রকাশকও তিনি।
প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়র কিছুটা অংশ—
‘জানিতাম, ঔষধ হিসেবে ‘যষ্টি-মধু’ উপকারী। আরো জানিতাম, বার্ধক্যের সহায় যষ্টি এবং যৌবনের অপরিহার্য মধু। কিন্তু যষ্টি ও মধু একত্রে যে মহোপকারী তাহা তো জানিতাম না। আজ জানিয়াছি।
তাই বলিতেছিলাম, শুধু যষ্টি বা শুধু মধুর দিন নাই। এ যুগ যষ্টি-মধুর যুগ। নরম গরমের যুগ। অতি বড় হইতে যাইও না, ঝড়ে ভাঙিয়া যাইবে; আবার অতি ছোটো হওয়াও ভালো নহে, ছাগলে মুড়িয়া খাইবে।
তাই এক হাতে যষ্টি আর এক হাতে মধু লইয়া আমাদের এই অভিযান।
নববর্ষে আমাদের যাত্রা হলো শুরু।
বৈশাখ ১৩৫৯
পত্রিকার ঠিকানা ৪৫এ, গড়পার রোড, কলকাতা ৯।
আবির্ভাব প্রতি মাসে। দাম ১০ পয়সা। পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৪, ডবল ডিমাই। বার্ষিক চাঁদা ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ‘যষ্টি-মধু’তে কার্টুন আঁকতেন ওমিও ঘোষ, শতদল, চণ্ডী লাহিড়ী, সুফি, কাজি, সুদর্শন চক্রবর্তী, সানিয়েৎ, হীরেন চৌধুরী, অমিয়ভূষণ গুপ্ত, অসীমানন্দ মুখোপাধ্যায়।
কার্টুন বিষয়ে ‘যষ্টি-মধু’র পাঁচটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল : কার্টুন সংখ্যা, সেকালের কার্টুন সংখ্যা, একালের কার্টুন সংখ্যা, ব্যঙ্গপত্রিকা পরিচিতি সংখ্যা, কাফী খাঁ স্মৃতিতর্পণ সংখ্যা।
প্রথমে মাসিক, পরে ত্রৈমাসিক এই পত্রিকাটি ১৯৫১ থেকে ১৯৯৫, অর্থাৎ ৪৪ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদকের মৃত্যুতে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : কমলকুমার দত্ত, ‘যষ্টি-মধু : একটি বিরল বৈশিষ্ট্যের ব্যঙ্গ পত্রিকা’, কোরক, বিলুপ্ত সাহিত্যপত্র সংখ্যা, মে-অগাস্ট ২০০৬।